রহস্য আর রোমাঞ্চঘেরা অসংখ্য স্থান রয়েছে পৃথিবীতে। যার কোনো কোনোটি আবার বিস্মিত করে চলেছে যুগের পর যুগ। বিশ্বে এমন কিছু স্থান রয়েছে, যেখানে ভ্রমণ নিষিদ্ধ। জানাচ্ছেন - তকিকুল ইসলাম
মেট্রো-২, মস্কো
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আন্ডারগ্রাউন্ড সিটি মস্কোর মেট্রো-২। এ যেন এক অজানা রাজ্য। শোনা যায়, স্ট্যালিন ক্ষমতায় থাকাকালীন শহরটি তৈরি করা হয়েছিল। এটি নাকি স্টালিনের গোপন স্কেপ রুট (যে গোপন পথ ধরে পালানো যায়)। যদিও ক্রেমলিনের তরফ থেকে কখনই এর অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়নি। রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির প্রজেক্ট ছিল এটি। যার কোডনেম ডি-৬। শোনা গেছে, সাধারণ মেট্রো থেকে এটি অনেক প্রশস্ত। চার রেল লাইনের মেট্রো চলাচল করে মাটির ৫০ থেকে ২০০ মিটার নিচ দিয়ে। মেট্রোটি নাকি সরাসরি ক্রেমলিন ও এফএসবি হেড-কোয়ার্টারের সঙ্গে সংযুক্ত।নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপ, আন্দামান
রহস্যঘেরা নিষিদ্ধ দ্বীপ নর্থ সেন্টিনেল। এটি বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত প্রবাল প্রাচীরে ঘেরা নিষিদ্ধ ও ভয়ংকর দ্বীপ। দ্বীপটিতে বসবাসকারী অধিবাসীদের বলা হয়, সেন্টিনেলিজ। যাদের সঙ্গে সমগ্র বিশ্বের কোনো যোগাযোগ নেই। এরা হলো- আধুনিক সভ্যতার শেষ যোগাযোগবিহীন উপজাতি। এদের জনসংখ্যা ৩৯ থেকে ২৫০-এর মধ্যে, সর্বোচ্চ ৫০০ জন। দ্বীপটির আয়তন ৭২ বর্গকিলোমিটার এবং কাগজে কলমে এটির মালিকানা ভারতের। কথিত রয়েছে, সেন্টিনেল দ্বীপের উপজাতির মানুষজন নরমাংসভোজী। কোনো বহিরাগত সেখানে গেলেই তাদের এরা তীর ছুড়ে মেরে ফেলে। ধারণা করা হয়, দ্বীপের দুর্গম প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে উপজাতিদের এমন হিংস্র আচরণ।
নাম শুনেই বোঝা যায়, এটি সাপের স্বর্গরাজ্য। কারণ সেখানে রয়েছে অগণিত বিষাক্ত সাপ! একে সাপের বাড়িও বলা হয়ে থাকে। দ্বীপটির আসল নাম ইলহা দ্য কুইমাডা গ্রান্ডে। তবে বিশ্ববাসীর কাছে এটি স্নেক আইল্যান্ড নামে পরিচিত। এটি ব্রাজিলের রাজধানী সাও পাওলোর দক্ষিণ-পূর্ব ভূখন্ড থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে অবস্থিত। এত দূরে থাকায়, সাপগুলো সমুদ্রের প্রবল ঢেউ উপেক্ষা করে সাঁতরে লোকালয়ে পৌঁছাতে পারে না। দ্বীপের লাইট হাউসের মেরামতের জন্য মাঝে মাঝে নৌ সেনারা এখানে আসেন। আর গবেষকদেরও এখানে প্রবেশের অনুমতি আছে। মানুষ ও সাপ উভয়কেই সুরক্ষার জন্য এটি করা হয়েছে।
এটি আইসল্যান্ডের ভেস্তমানেয়ার আরকিপেলেগো শহরের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত আগ্নেয় দ্বীপ। ১৯৬৩ সালের আগে এর অস্তিত্ব ছিল না। সে সময় সমুদ্রপৃষ্ঠের অনেক নিচে সংঘটিত ওয়েস্টম্যান আইল্যান্ডের জলস্থ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে দ্বীপের উৎপত্তি। অগ্ন্যুৎপাত চলতে থাকে ১৯৬৭ সালের জুন পর্যন্ত এবং বন্ধ হওয়ার স্থানে এক দ্বীপ সৃষ্টি হয় যা আগে সেখানে ছিল না। এই নতুন দ্বীপ নামকরণ করা হয় আগুনের ইয়োটুন দৈত্য সাটসের নামানুসারে। বিজ্ঞানীরা দ্বীপটিকে পর্যটকদের পরিদর্শন থেকে বিরত রাখেন, যাতে তারা সেখানে জীবন কীভাবে বিবর্তিত হয় তা অধ্যয়ন করতে পারেন।
Great post brother. Thanks a lot.
ReplyDeleteWelcome. And Thanks for your comment. Stay with me all time.
Delete